সাভার (ঢাকা): সাভারে আসমা আফরিন মিতু (২৮) নামের এক শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী মুরাদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর সিটি লেন এলাকায় মিতুর বাবার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাবা আনন্দপুর এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মিতুকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন মুরাদ। তবে তদন্তের আগে কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ।
মিতুর স্বজনরা জানান, একবছর আগে মিতুর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় চাঁদপুরের মুরাদ মিয়ার। দু’জনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের পর তারা ঢাকায় একটি ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আসমা মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। কয়েকদিন আগে দু’জন আনন্দপুর এলাকায় মিতুর বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার রাতে ঝগড়া বাঁধে দু’জনের মধ্যে।
স্বজনরা দাবি করেন, ঝগড়ার জেরে মিতুকে পিটিয়ে হত্যা করেন মুরাদ। এরপর তার মরদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা মিতুকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহাবুবুর রহমান অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা বিবেচনাধীন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পরই বিস্তারিত বোঝা যাবে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।